কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভাসানচরে দশ মাসে ৫২৫ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে ৫২৫টি নবজাতকের জন্ম হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচশ’ নবজাতক নরমাল ডেলিভারিতে এবং ২৫ নবজাতকের সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম হয়।

ভাসানচর শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারী সংস্থা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ১৩টি, এপ্রিলে ৩২টি, মে মাসে ২৫টি, জুনে ৪১টি, জুলাইয়ে ৪০টি, আগস্টে ৫০টি, সেপ্টেম্বরে ৮৫টি, অক্টোবরে ৭৭টি, নভেম্বরে ৮১টি এবং ডিসেম্বরে ৮১টি নবজাতকের জন্ম হয়। তবে, ২০২২ সালের মার্চ মাসের আগে সেখানে জন্ম নেয়া মোট নবজাতকের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভাসানচরে গত ১০ মাসে জন্ম নেয়া এসব নবজাতকের মধ্যে শতকরা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ সিজারিয়ান অপারেশনে এবং ৯৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নিয়েছে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথম দল ভাসানচরে আসে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোর রাতে ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা দম্পতি মোহাম্মদ কাশেম ও রাবেয়া খাতুনের ঘরে জন্ম নেয় একটি ছেলে শিশু। ওই শিশুটিই ভাসানচরে জন্ম নেয়া প্রথম নবজাতক।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ও ভাসানচরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. সোহরাব হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সেখানে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল করা হয়েছে। দুইজন মেডিকেল অফিসার, তিনজন সিনিয়র স্টাফ নার্স, দুইজন প্যারামেডিকস, দুইজন মিডওয়াইফসহ মোট ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাইফা, ফ্রেন্ডশিপ, আরটিআই ও ব্রাকের কর্মীরাও রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।

পাঠকের মতামত: